তালবীনা
اَلتّلبينَ
তালবীনা অত্যান্ত উপকারি ও পুষ্টিকর একটি সুন্নতি খাবার। উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস
সালাম তিনি কোন মৃতব্যাক্তির শোকে দুর্বল হয়ে পড়াদের তালবীনা খাওয়ার জন্য নছিহত মুবারক
করেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি- তালবীনা
রোগাক্রান্ত ব্যক্তির হৃদযন্ত্রের জন্য আরামদায়ক, হৃদযন্ত্রকে
সক্রিয় করে এবং ব্যাথা ও দুঃখকষ্ট দূর করে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ: ৫৩২৫)
حَدَّثَنَا
حِبَّانُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ
يَزِيدَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى
الله عنها ـ أَنَّهَا كَانَتْ تَأْمُرُ بِالتَّلْبِينِ لِلْمَرِيضِ
وَلِلْمَحْزُونِ عَلَى الْهَالِكِ، وَكَانَتْ تَقُولُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ التَّلْبِينَةَ تُجِمُّ فُؤَادَ
الْمَرِيضِ، وَتَذْهَبُ بِبَعْضِ الْحُزْنِ ".
‘উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, তিনি রোগীকে এবং কারো মৃত্যুজনিত শোকাহত ব্যক্তিকে তরল
জাতীয় খাদ্য খাওয়ানোর আদেশ করতেন। তিনি বলতেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, ‘তালবীনা’
রোগীর কলিজা মযবূত করে এবং নানাবিধ দুশ্চিন্তা দূর করে। (আধুনিক
প্রকাশনী- ৫২৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৪)
১৪৩১
حديث عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا كَانَتْ، إِذَا مَاتَ الْمَيِّتُ مِنْ
أَهْلِهَا، فَاجْتَمَعَ لِذلِكَ النِّسَاءُ، ثُمَّ تَفَرَّقْنَ إِلاَّ أَهْلَهَا
وَخَاصَّتَهَا، أَمَرَتْ بِبُرْمَةٍ مِنْ تَلْبِينَةٍ فَطُبِخَتْ [ص: 67] ثمَّ
صُنِعَ ثَرِيدٌ فَصُبَّتِ التَّلْبِينَةُ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ: كُلْنَ
مِنْهَا، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
يَقُولُ: التَّلْبِينَةُ مَجَمَّةٌ لِفُؤَادِ الْمَرِيضِ تَذْهَبُ بِبَعْضِ
الْحُزْنِ
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তাঁর পরিবারের
কোন ব্যক্তি মারা গেলে মহিলারা এসে সমবেত হলো। তারপর তাঁর আত্মীয়রা ও বিশেষ ঘনিষ্ঠ
মহিলারা ব্যতীত বাকী সবাই চলে গেলে, তিনি ডেগে ‘তালবীনা’ (আটা, মধু ইত্যাদি সংযোগে
তৈরি খাবার) পাকাতে নির্দেশ দিলেন। তা পাকানো হলো। এরপর ‘সারীদ’ (গোশতের মধ্যে রুটি
টুকরো করে দিয়ে তৈরী খাবার) প্রস্তুত করা হলো এবং তাতে তালবীনা ঢালা হলো। তিনি বললেনঃ
তোমরা এ থেকে খাও। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘তালবীনা’ রুগ্ন ব্যক্তির চিত্তে প্রশান্তি এনে দেয় এবং শোক দুঃখ
কিছুটা লাঘব করে। (বুখারী পর্ব ৭০ অধ্যায় ২৪ হাদীস নং ৫৪১৭; মুসলিম ৩৯/৩০, হাঃ ২২১৬)
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي الْخَصِيبِ،
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ، عَنِ امْرَأَةٍ، مِنْ قُرَيْشٍ
يُقَالَ لَهَا كَلْثَمُ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه
وسلم ـ " عَلَيْكُمْ بِالْبَغِيضِ النَّافِعِ التَّلْبِينَةِ " .
يَعْنِي الْحَسَاءَ . قَالَتْ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
إِذَا اشْتَكَى أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهِ لَمْ تَزَلِ الْبُرْمَةُ عَلَى النَّارِ
حَتَّى يَنْتَهِيَ أَحَدُ طَرَفَيْهِ . يَعْنِي يَبْرَأُ أَوْ يَمُوتُ .
আয়েশা (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ অপ্রিয় কিন্তু উপকারী বস্তুটি তোমরা অবশ্যই গ্রহণ করবে। তা হলো তালবীনা অর্থাৎ
হাসা (দুধ ও ময়দা সহযোগে প্রস্তুত তরল পথ্য)। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পরিবারের
কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসা-এর পাতিল চুলার উপর থাকতো, যতক্ষণ না রোগী সুস্থ হতো অথবা মারা যেত। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৪৪৬]
উপকারিতা:
- হৃদরোগের প্রতিশেধক
- হৃদপিন্ডের শক্তি বাড়ায়
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে (একটি মরণব্যধি)
- অ্যালজেইমার প্রতিরোধ করে (এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই)
- ডায়াবেটিকের ঝুঁকি কমায় (নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় কিন্তু মুক্তি নেই)
- বিষন্নতা দূর করে (কোন ওষুধ নেই)
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
- কলেস্টরেল কমায়
- পাকস্থলির জন্য স্বস্তিদায়ক
- নিয়মিত স্বাভাবিক ইস্তিঞ্জা হয়
- কোলন ক্যান্সার রোধ করে
- কোষ্ঠকাঠিন্নতা দূর করে
কোথায় পাবেন:
সঠিক উপকরণ ও হুবহু সুন্নতি প্রক্রিয়ায় তালবীনা তৈরী হয় একমাত্র ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফস্থ মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ক্যান্টিনে।
ঠিকানা: ৫, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ পুলিশ লাইন (৩নং গেইটের বিপরীতে), ঢাকা-১২১৭।
তালবীনাসহ অন্যান্য সুন্নতি খাবারের অর্ডারের জন্য যোগাযোগ করা যাবে এই নাম্বারে - 01729-902375, ফেসবুক পেইজ: facebook.com/CanteenShareef
Comments
Post a Comment